কতিপায় বিখ্যাত ব্যক্তির উপাধি

■ টাইগার — জর্জ ক্লেমেড (যুক্তরাজ্য)
■ ডটার অব দ্যা ইস্ট — বেনজীর ভুট্টো (পাকিস্তান)
■ ডেজার্ট ফক্স — জেনারেল রোমেল (যুক্তরাজ্য)
■ বাইন্ড বার্ড — হোমার (গ্রীস)
■ বিদ্রোহী কবি — কাজী নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ)
■ বিশ্বকবি, কবিগুরু — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ভারত)
■ ভারতের নাইটঙ্গেল — সরোজিনী নাইডু (ভারত)
■ মহান শাসক — গিয়াসউদ্দিন বলবান (ভারত)
■ মিঃ কে — নিকিতা কুশ্চেভ (রাশিয়া)
■ মাস্টারদা — সূর্যসেন (বাংলাদেশ)
■ ম্যান্ডারিন — চীনা রাজ কর্মচারী (চীন)
■ লিটল করপোরাল — নেপোলিয়ন বোনাপোর্ট (ফ্রান্স)
■ দেশবন্ধু — চিত্তরঞ্জন দাস (ভারত)
■ নেতাজী– সুভাষ বোস (ভারত)
■ ফুয়েরার — এডলফ হিটলার (জার্মানী)
■ লৌহ মানবী — মার্গারেট থ্যাচার (যুক্তরাজ্য)
■ বঙ্গবন্ধু — শেখ মুজিবুর রহমান (বাংলাদেশ)
■ বাংকার্নো — ডঃ আহমেদ সুকর্ন (ইন্দোনেশিয়া)
■ বাপুজী — মহাত্মা গান্ধী (ভারত)
■ বাংলার বাঘ — আশুতোষ মুখার্জী (ভারত)
■ লেডি উইথ দি ল্যাম্প — ফ্লোরেন্স নাইটঙ্গেল (ইটালী)
■ লোকমান্য — বালগঙ্গাধর তিলক (ভারত)
■ শান্তির মানুষ — লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (ভারত)
■ শের -ই বাংলা — এ কে ফজলুল হক (বাংলাদেশ)
■ শিল্পাচার্য — অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ভারত)
■ শিল্পাচার্য — জয়নুল আরেদীন (বাংলাদেশ)
■ সীমান্ত গান্ধী — আব্দুল গাফফার খান (পাকিস্তান)
■ সার্পেন্ট অব দি নাইল — রাণী ক্লিওপেট্রা (মিশর)
■ হার্ট সার্জন — ডঃ উইলিয়াম ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড (দক্ষিণ আফ্রিকা)
■ আইনের শাসক — আইজেন হাওয়ার (যুক্তরাষ্ট্র)
■ আইনের শাসক — আলফ্রেড দি গ্রেট (যুক্তরাজ্য)
■ আংকেল হো — হো চি মিন (ভিয়েতনাম)
■ আতার্তুক — কামাল পাশা (তুরস্ক)
■ আধুনিক জার্মানীর জনক — প্রিন্স বিসমার্ক (জার্মানী)
■ আরবের নাইটিঙ্গেল — উম্মে কুলসুম (মিশর)
■ আয়রন ডিউক — ডিউক অব ওয়েলিংটন (যুক্তরাজ্য)
■ আয়রন চ্যান্সেলর — প্রিন্স বিসমার্ক (জার্মানী)
■ ইংরেজি কাব্যে জনক — জিওফ্রে চসার (যুক্তরাজ্য)
■ ইতিহাসের জনক — হিরোডোটাস (গ্রীস)
■ উত্তরের যাদুকর — স্যার ওয়াল্টার স্কট (যুক্তরাজ্য)
■ উন্মাদ সন্যাসী — রাসপুটিন (রাশিয়া)
■ কায়েদে-এ আজম — মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (পাকিস্তান)
■ গুর্খা — নেপালী সৈন্য (নেপাল)
■ গ্রান্ড ওল্ডম্যান — গ্লাডস্টোন (যুক্তরাজ্য)
■ গ্রান্ড ওল্ডম্যান — দাদাভাই নওরোজী (ভারত)
■ চে আর্নেসেটা — চে গুয়েভারা (আর্জেন্টিনা)
■ চাচা — জওহরলাল নেহেরু (ভারত)
■ জন বুল — ইংরেজ জাতি (যুক্তরাজ্য)
■ জি বি এস — জর্জ বার্নার্ডশ’ (যুক্তরাজ্য)

Posted from WordPress for Android

কতিপয় সাহিত্যিক কর্তৃক সম্পাদিত পত্রিকার নাম

► বেঙ্গল গেজেট (১৭৮০)– জেমস অগাস্টাস হিকি।
► মাসিক দিগদর্শন (১৮১৮)– জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
► সমাচার দর্পন (১৮১৮)–জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
► সাপ্তাহিক বাঙ্গাল গেজেট (১৮১৮)– গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।
► ব্রাহ্মণ সেবধি (১৮২১) — রাজা রামমোহন রায়
► সম্বাদ কৌমুদী (১৮২১)– রাজা রামমোহন রায়।
► মীরাতুল অাখবার (১৮২২) — রাজা রামমোহন রায়
► সাপ্তাহিক সমাচার চন্দ্রিকা (১৮২২) — ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
► সাপ্তাহিক বঙ্গদূত (১৮২৯)– নীলমণি হালদার।
► সম্বাদ প্রভাকর (সাপ্তা-১৮৩১, দৈনিক-১৮৩৯)–ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► জ্ঞানান্বেষণ (১৮৩১) — দক্ষিনারঞ্জন মুখোপাধ্যায়
► সমাচার সভারাজেন্দ্র (১৮৩১) — শেখ অালীমুল্লাহ
► সংবাদ রত্নাবলী (১৮৪৩) — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (১৮৪৩)– অক্ষয়কুমার দত্ত।
► জগদুদ্দীপব ভাস্কর (১৮৪৬) — মৌলভী রজব অালী।
► এডুকেশন গেজেট (১৮৪৬) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
► পাষান্ড পীড়ন (১৮৪৬) — ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
► রংপুর বার্তাবহ (১৮৪৭) — গুরুচরণ রায়।
► সংবাদ সাধুরঞ্জন (১৮৫০) — ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত।
► সংবাদ রসসাগর (১৮৫০) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
► সর্বশুভকরী পত্রিকা (১৮৫০) — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
► বিবিধার্থ সংগ্রহ (১৮৫১) — রাজেন্দ্রলাল মিত্র
► সাপ্তাহিক বার্তাবহ (১৮৫৩) — রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
► মাসিক পত্রিকা (১৮৫৪) — প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার।
► মাসিক অরুণোদয় (১৮৫৬) –রেভারেন্ড লাল বিহারী দে
► ঢাকা প্রকাশ (১৮৬১) — কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
► গ্রামবার্তা (১৮৬৩) — কাঙ্গাল হরিনাথ
► অার্য দর্শন (১৮৬৩) — যোগেন্দ্র বিদ্যাভূষণ।
► শুভ সাধনী (১৮৭০) — কালী প্রসন্ন ঘোষ।
► বঙ্গদর্শন (১৮৭২)– বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
► অাজিজুন্নেহার (১৮৭৪) — মীর মশাররফ হোসেন।
► বান্ধব (১৮৭৪) — কালীপ্রসন্ন ঘোষ
► ভারতী (১৮৭৭) — দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
► ঝলক (১৮৮৫) — জ্ঞনদানন্দনী দেবী
► সাহিত্য (১৮৯০) — সুরেশচন্দ্রনাথ ঠাকুর।
► সাপ্তাহিক সুধাকর (১৮৯১) — শেখ আবদুর রহিম।
► মাসিক ইসলাম প্রচারক (১৮৯১) — মোঃ রেয়াজউদ্দিন।
► সাধনা (১৮৯১) — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
► মাসিক মিহির (১৮৯৭) — শেখ অাব্দুর রহিম।
► হাফেজ (১৮৯৭) — শেখ অাব্দুর রহিম।
► কোহিনূর (১৮৯৮) — মোঃ রওশন অালী
► লহরী (১৯০০) — মোজাম্মেল হক।
► প্রবাসী (১৯০১) — রামনন্দ চট্টোপাধ্যায়
► মাসিক নবনূর (১৯০৩) — সৈয়দ এমদাদ অালী।
► মাসিক বাসনা (১৯০৮) — শেখ ফজলল করিম।
► পরিষৎ (১৯০৮) — রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।
► দৈনিক খাদেম (১৯১০) — মোঃ অাকরাম খাঁ।
► সাপ্তাহিক মোহাম্মাদী (১৯১০) — মোহা ম্মদ আকরম খাঁ।
► ভারতবর্ষ (১৯১৩) — জলধর সেন ও অমূল্যচারণ বিদ্যাভূষণ।
► সবুজ পত্র (১৯১৪)– প্রমথ চৌধুরী।
► মাসিক অাল এসলাম (১৯১৫) — মাওলানা অাকরাম খাঁ।
► সওগাত (১৯১৮) — মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন।
► আঙ্গুর (কিশোর মাসিক) (১৯২০) — ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
► মাসিক মোসলেম ভারত (১৯২০) — মোজাম্মেল হক।
► ধুমকেতু (১৯২২) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► মাসিক কল্লোল (১৯২৩) — দীনেশরঞ্জন দাশ।
► লাঙ্গল (১৯২৫) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► কালি ও কলম (১৯২৬) — শৈলজানন্দ।
► প্রগতি (১৯২৭) — বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্ত।
► বার্ষিক শিখা (১৯২৭) — আবুল হুসেন।
► সংলাপ — অাবুল হোসেন।
► জয়তী (১৯৩০) — অাবদুল কাদির।
► মাহে নও — অাবদুল কাদির।
► পরিচয় (১৯৩১) — বিষ্ণু দে।
► পূর্বাশা(১৯৩২) — সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
► দৈনিক অাজাদ (১৯৩৫) — মোহাম্মদ অাকরাম খাঁ।
► দৈনিক নবযুগ (১৯৪১) — কাজী নজরুল ইসলাম।
► পাক্ষিক প্রতিরোধ (১৯৪২) — রণেশ দাশগুপ্ত।
► সাহিত্য পত্র (১৯৪২) — বিষ্ণু দে।
► কবিতা (১৯৪৫) — বুদ্ধদেব বসু
► দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার (১৯৪৯) — শেহাব উল্লাহ
► বেগম (১৯৪৯) — নুরজাহান বেগম।
► দৈনিক ইনসাফ (১৯৫০) — মহিউদ্দীন।
► সমকাল (১৯৫৭) — সিকান্দার আবু জাফর।
► পূর্বমেঘ (১৯৬০) — জিল্লুর রহমান
সিদ্দিকী
► স্বাক্ষর (১৯৬৩)— রফিক আজাদ ও সিকদার আমিনুল হক
► কন্ঠস্বর (১৯৬৫)— আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
► কালবেলা (১৯৬৫) — জোতিপ্রকাশ দত্ত
► স্বদেশ (১৯৬৯) — আহমদ ছফা
► শিল্পকলা (১৯৭০)— আব্দুল মান্নান সৈয়দ
► পূর্ণিমা — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► সাহিত্য সংক্রান্তি — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► অবোধ বন্ধু — বিহারীলাল চক্রবর্তী
► সৈনিক — শাহেদ অালী।
► বেদুঈন — অাশরাফ অালী খান
► গুলিস্তা — এস. ওয়াজেদ অালী
► মুসলিম জগৎ — খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন।
► সাম্যবাদী — খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন।
► বিচিত্রা — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► কবিতাপত্র — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► কবিকণ্ঠ — ফজল শাহাবুদ্দীন।
► যায়য়ায়দিন — শফিক রেহমান।
► শিখা — কাজী মোতাজার হোসেন।
► সাপ্তাহিক মুসলিম জগত — অাবুল কালাম শামসুদ্দীন।
► সাপ্তাহিক খাদেম — অাবুল কালাম শামসুদ্দীন।
► মাসিক ভারতী — স্বর্ণকুমারী দেবী।
► বঙ্গদর্শন (নবপর্যায়) — মোহিতলাল মজুমদার।
► চতুরঙ্গ — হুমায়ূন কবীর
► স্বদেশ — সুকুমার রায়
► সাহিত্য পত্রিকা — মুহাম্মদ অাবদুল হাই
► Reformer — প্রসন্ন কুমার ঠাকুর।
► Hindu Intelligence — কাশীপ্রসাদ ঘোষ

Posted from WordPress for Android

পর্যায় সারণী

পর্যায় সারণী: একই ধরনের ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহকে একই শ্রেণীভুক্ত করে, আবিষ্কৃত সব মৌলকে স্থান দিয়ে মৌলসমূহহের যে সারণী বর্তমানে প্রচলিত, তাকে মৌলের পর্যায় সারণী বলে।
◆ বিজ্ঞানী মেন্ডেলিফ’কে পর্যায় সারণীর জনক বলে।
◆ পর্যায় সূত্র আবিষ্কার করেন মেন্ডেলিফ।
নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্র : ১৮৬৪ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী জন নিউল্যান্ডস লক্ষ্য করেন, ‘মৌলসমূহকে তাদের পারমাণবিক ভরের ক্রম অনুসারে সাজালে দেখা যায়, যে কোন মৌল থেকেই শুরু করে অষ্টম মৌলে ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পুনরাবৃত্তি করে।’ সঙ্গীতের স্বরলিপির সাতটি স্তরের পুনরাবৃত্তির (সা রে গা মা পা ধা নি সা) সঙ্গে মিল দেখে নিউল্যান্ডস এ সূত্রের নাম দেন অষ্টক সূত্র।
ডোবেরিনায়ের ত্রয়ী সূত্র : ১৮২৯ সালে ডোবেরিনায়ের মৌলসমূহকে সাজানোর জন্য ত্রয়ী সূত্র নামে একটি সূত্র প্রদান করেন। এই সূত্র অনুসারে রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য পূর্ণ তিনটি করে মৌলকে সাজিয়ে নিলে দেখা যায় যে, উক্ত মৌল তিনটির পারমাণবিক ভর নিয়মানুসারে পরিবর্তিত হয় এবং এই তিনটি মৌলের মধ্যমটির পারমাণবিক ভর প্রথম ও তৃতীয় মৌলের পারমাণবিক ভরের গড় মানের প্রায় সমান অথবা সমান। যেমন-
→ মৌল – পারমাণবিক ভর
Ca – 40
Sr – 87
Ba – 137
Ca ও Ba এর পারমাণবিক ভরের গড় (40+137)/2 = 88.5
→ মৌল – পারমাণবিক ভর
Li – 7
Na – 23
K – 39
Li ও K এর পারমাণবিক ভরের গড় ((7+39)/2 = 23
→ মৌল – পারমাণবিক ভর
Cl – 35.5
Br – 80
I – 127
ভরের গড় (7+39)/2 = 23
Cl ও I এর পারমাণবিক ভরের গড় (35.5+127)/2 = 81.25
◆ পর্যায় সারণীর প্রথম পর্যায়ে মাত্র দুটি মৌল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম আছে।
পর্যায় সারণীতে ৭টি পর্যায় এবং ৯টি শ্রেণী আছে।
◆ বিজ্ঞানী নিউল্যান্ডস ১৮৬৪ সালে নিউল্যান্ডের অষ্টক সূত্র প্রদান করেন।
GeO₂ আপেক্ষিক গুরুত্ব 4.7 এবং GeCl₄ এর স্ফুটনাংক 86°C
◆ ধাতু হবার কারণে IA মৌলগুলো তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
◆ IA মৌলসমূহ রৌপ্য বর্ণের ও উজ্জ্বল।
ইলেক্ট্রন বিন্যাস অনুযায়ী মৌলসমূহকে ৪টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।-
১. s– ব্লক মৌল; উদাহরণ- H, He, Li
২. p– ব্লক মৌল; উদাহরণ- Al, Ar
৩. d– ব্লক মৌল; উদাহরণ-Sc, Zn, C D
৪. f– ব্লক মৌল; উদাহরণ- Ac, As
◆ মৌলের ধর্মাবলী মৌলের পারমাণবিক সংখ্যানুসারে পর্যায়ক্রম আবর্তিত হয়।
মৌলের স্ফুনাংক পর্যায়ক্রম পরিবর্তিত হয়।
◆ f-ব্লক মৌলসমূহকে আভ্যন্তরীণ অবস্থান্তর মৌল বলে।
◆ মৌলের আয়নিকরণ বিভব একটি পর্যায়বৃত্তিক ধর্ম।
পর্যায় সারণীর ত্রুটি :
মেন্ডেলিফের পর্যায় সারণীর ত্রুটি :
১. পারমাণবিক ভর অনুসারে সজ্জিতকরণে ত্রুটি
২. মৌলের অবস্থানের সঙ্গে ধর্মের অসামঞ্জস্যতা
আধুনিক পর্যায় সারণীর ত্রুটি :
১. হাইড্রোজেনের অবস্থান
২. অষ্টম শ্রেণীর অসামঞ্জস্যতা
৩. ল্যান্থানাইড ও অ্যাক্টিনাইড সারির অবস্থান
◆ ল্যান্থানাইড বর্গকে বিরল মৃত্তিকা মৌল বলে।
◆ ক্ষারধাতুগুলির সর্ব বহিঃস্তরে ১টি মাত্র ইলেক্ট্রন থাকে।
◆ IIA শ্রেণীর মৌলগুলিকে মৃৎক্ষার ধাতু বলে।
◆ মৃৎক্ষার ধাতুর সর্ব বহিঃস্তরে ২টি ইলেক্ট্রন দ্বারা s অরবিটাল পূর্ণ থাকে।
◆ পর্যায় সারণীতে নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলির অবস্থান শূণ্য শ্রেণীতে।
◆ Al এর গলনাংক Na অপেক্ষা বেশি।
ক্ষার ধাতুগুলি পর্যায় সারণীতে IA শ্রেণীতে অবস্থিত।
◆ একই শ্রেণীর উপর হতে নিচের দিকে আয়নিকরণ শক্তি কমে যায়।
◆ একই পর্যায়ের বাম হতে ডান দিকে ক্রমান্বয়ে আয়নিকরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
হ্যালোজেনসমূহ পর্যায় সারণীর VIIA শ্রেণীতে অবস্থিত।

Posted from WordPress for Android

গুপ্ত বংশ

◆ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বা প্রথম রাজা
কে ?
উত্তর: ১ম চন্দ্রগুপ্ত (শ্রী-গুপ্ত) ।
◆ গুপ্ত সাম্রাজ্যের গোড়া পত্তন হয়?
উত্তরঃ ৩২০ খ্রিঃ।
◆ গুপ্ত বংশের রাজত্বকাল স্থায়ী
হয়েছিল?
উত্তরঃ ৩২০-৫৫০ খ্রিঃ
◆ গুপ্তযুগে বঙ্গের ভাগ কয়টি ছিল ?
উত্তরঃ দুটি।
◆ গুপ্ত বংশের মধ্যে ¯^vaxb ও
শক্তিশালী রাজা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
◆ ১ম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি কি ছিল?
উত্তরঃ রাজাধিরাজ।
◆ গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ?
উত্তরঃ সমুদ্রগুপ্ত।
◆ সমূদ্রগুপ্ত কখন সিংহাসনে আরোহন করেছিল?
উত্তরঃ ৩৩৫ খ্রিঃ।
◆ সমূদ্রগুপ্ত কত বছর রাজ্য শাসন করেন?
উত্তরঃ ৪৫ বছর (৩৮০ খ্রিঃ পর্যন্তু)।
◆ সমূদ্রগুপ্তের পিতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
◆ সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রার নাম কি ছল?
উত্তর: অশ্বমেধ পরিক্রমা
◆ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি কি ছিল?
উত্তরঃ বিক্রমাদিত্য, সিংহবীর
◆ মহাকবি কালিদাস কোন
রাজার সভাকবি ছিলেন?
উত্তরঃ ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
◆ কালিদাস কোন যুগের কবি?
উত্তরঃ গুপ্ত যুগের কবি
◆ বিক্রমাদিত্য কার উপাধী ছিল?
উত্তরঃ ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
◆ ২য় চন্দ্রগুপ্ত-এর রাজত্বকাল ছিল?
উত্তরঃ ৩৮০-৪১৩ খ্রিঃ
◆ অজান্তার গুহাচিত্র কোন যুগের সৃস্টি?
উত্তরঃ গুপ্তযুগের।
◆ গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে?
উত্তরঃ সমুদ্রগুপ্ত
◆ গুপ্ত বংশের কোন সম্রাটকে
ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হত ?
উত্তরঃ সমুদ্রগুপ্তকে।
◆ সর্ব প্রথম কোন চীনা পরিব্রাজক
ভারতবর্ষে আগমন করেন?
উত্তরঃ ফা-ইয়েন।
◆ ফা -হিয়েন কার সময়ে ভারতবর্ষ পরিভ্রমন করেন ?
উত্তরঃ ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
◆ ফা -হিয়েনের ভারত পরিভ্রমনের কারণ কি ছিল?
উত্তরঃ বৌদ্ধ ধর্মপুস্তক
‘বিনায়াপিটক’ এর মূল রচনা সংগ্রহ করা।
◆ ফা -হিয়েন কত বছর ভারতবর্ষে
অবস্থান করেন?
উত্তরঃ তিন বছর।
◆ গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে কখন?
উত্তরঃ স্কন্দগুপ্তের বিক্রমাদিত্যের জীবনাবসনে।
◆ কখন সম্রাট আলেকজান্ডার ভারতবর্ষে আগমন করেন?
উত্তরঃ খ্রীস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে।
◆ গুপ্তবংশের রাজাদের ক্রম (সকলের সময়েই বাংলা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, এমন নয়)
উত্তরঃ শ্রীগুপ্ত → ঘটোৎকচ → প্রথম চন্দ্রগুপ্ত → নিশামুসগুপ্ত → সমুদ্রগুপ্ত → রামগুপ্ত → দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত → প্রথম কুমারগুপ্ত → স্কন্ধগুপ্ত → পুরুগুপ্ত → দ্বিতীয় কুমারগুপ্ত → বুদ্ধগুপ্ত → নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্য → তৃতীয় কুমারগুপ্ত → বিষ্ণুগুপ্ত → বৈন্যগুপ্ত → ভানুগুপ্ত

Posted from WordPress for Android

ভৌগলিক উপনাম

১। সোনালী অাশের দেশ —- বাংলাদেশ
২। নীরব খনির দেশ —- বাংলাদেশ
৩। ভাটির দেশ —- বাংলাদেশ
৪। পঞ্চনদের দেশ —- পাঞ্জাব
৫। বজ্রপাতের দেশ —- ভুটান
৬। পবিত্র দেশ —- ফিলিস্তিন
৭। সূর্যোদয়ের দেশ —- জাপান
৮। ভূমিকম্পের দেশ —- জাপান
৯। নিষিদ্ধ দেশ —- তিব্বত
১০। শান্ত দেশ —- কোরিয়া
১১। শান্ত সকালের দেশ —- কোরিয়া
১২। সাদা হাতির দেশ —– থাইল্যান্ড
১৩। সোনালী প্যাডোডার দেশ —- মিয়ানমার
১৪। নিশীথ সূর্যের দেশ — নরওয়ে
১৫। ধীবরের দেশ —- নরওয়ে
১৬। হাজার হ্রদের দেশ — ফিনল্যান্ড
১৭। হাজার দ্বীপের দেশ — ফিনল্যান্ড
১৮। নীল নদের দেশ —- মিসর
১৯। পিরামিডের দেশ — মিসর
২০। মরুভুমির দেশ —- অাফ্রিকা
২১। চীর সবুজের দেশ —- নাটাল (দ: অাফ্রিকা)
২২। ম্যাপল পাতার দেশ —- কানাডা
২৩। লিলি ফুলের দেশ — কানাডা
২৪। মুক্তার দেশ — কিউবা
২৫। ক্যাঙ্গারুর দেশ — অস্ট্রেলিয়া
২৬। পশমের দেশ —- অস্ট্রেলিয়া
২৭। মেডিটেরিয়ানের দেশ —- জিব্রাল্টার
২৮। সিল্ক রুটের দেশ —- ইরান
২৯। প্রাচীরের দেশ —– চীন
৩০। মার্বেলের দেশ —- ইতালি
৩১। পঞ্চম ড্রাগনের দেশ —- তাইওয়ান
৩২। বহ্মদেশ — মিয়ানমার
৩৩। মসজিদের শহর —- ঢাকা
৩৪। রিকশার শহর —- ঢাকা
৩৫। রাজপ্রাসাদের শহর — কতকাতা
৩৬। নীরব শহর — রোম
৩৭। সাত পাহাড়ের শহর — রোম
৩৮। চির শান্তির শহর — রোম
৩৯। পোপের শহর — ভ্যাটিক্যান সিটি
৪০। উদ্যানের শহর —- শিকাগো
৪১। বাতাশের শহর —- শিকাগো
৪২। বাজারের শহর —- কায়রো
৪৩। সোনালী তোরণের শহর —- সানফ্রান্সসকো
৪৪। নিষিদ্ধ শহর —- লাসা
৪৫। ফুলগাছের শহর —- হারারে
৪৬। ট্যাক্সির নাগরী —- মেক্সিকো
৪৭। নিমজ্জমান নগরী — হেগ
৪৮। দ্বীপের নগরী — ভেনিস
৪৯। রাতের নগরী —- কায়রো
৫০। রজত/রৌপ্যের নগরী — অালজিয়ার্স
৫১। স্বর্ণের নগরী — জোহানেসবার্গ
৫২। জাকজমকের নগরী — নিউইয়র্ক
৫৩। চির বসন্তের নগরী — কিটো
৫৪। পৃথিবীর ছাদ — পামির মালভূমি
৫৫। পৃথিবীর গুদামঘর — মেক্সিকো
৫৬। পৃথিবীর সুন্দর দ্বীপ — ট্রিস্টিয়ান ডি কানা
৫৭। পৃথিবীর ব-দ্বীপ — বাংলাদেশ
৫৮। পৃথিবীর রাজধানী — নিউইয়র্ক
৫৯। পৃথিবীর চিনির অাধার — কিউবা
৬০। পৃথিবীর কসাইখানা —- শিকাগো
৬১। বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার — চট্টগ্রাম
৬২। পাকিস্তানের প্রবেশদ্বার — করাচি
৬৩। ভারতের প্রবেশদ্বার — মুম্বাই
৬৪। ইউরোপের প্রবেশদ্বার —- ভিয়েনা
৬৫। কানাডার প্রবেশদ্বার — সেন্ট লরেন্স
৬৬। ভূমধ্যসাগরের প্রবেশদ্বার —- জিব্রাল্টার
৬৭। মুক্তার দ্বীপ — বাহরাইন
৬৮। অাগুনের দ্বীপ —- অাইসল্যান্ড
৬৯। লবঙ্গ দ্বীপ — জাঞ্জিবার
৭০। পান্নার দ্বীপ —- অায়ারল্যান্ড
৭১। দ্বীপ মহাদেশ —- অস্ট্রেলিয়া
৭২। চীনের দুঃখ —- হোয়াংহো নদী
৭২। চীনের নীলনদ — ইয়াংসিকিয়াং
৭৩। চীনের ধনভান্ডার — হুনান প্রদেশ
৭৪। ইউরোপের রুগ্ন মানুষ — তুরস্ক
৭৫। ইউরোপের ককপিট —- বেলজিয়াম
৭৬। ইউরোপের বুট —- ইতালি
৭৭। ইউরোপের ক্রীড়াঙ্গন — সুইজারল্যান্ড
৭৮। ইউরোপের স’মিল — সুইডেন
৭৯। প্রাচ্যের ড্যান্ডি — নারায়নগঞ্জ
৮০। প্রাচ্যের ভেনিস — ব্যাংকক
৮১। প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার — ওসাকা
৮২। প্রাচ্যের গ্রেট ব্রিটেন — জাপান
৮৩। বাংলার ভেনিস —- বরিশাল
৮৪। ভূ-স্বর্গ – কাশ্মীর
৮৫। অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ — অাফ্রিকা
৮৬। সকালবেলার শান্তি — কোরিয়া
৮৭। বিগ অাপেল — নিউইয়র্ক
৮৮। বিশ্বের রুটির ঝুড়ি — প্রেইরি
৮৯। সোভিয়েত ইউনিয়নের শস্যভাণ্ডার — ইউক্রেন
৯০। দক্ষিণের গ্রেট ব্রিটেন — নিউজিল্যান্ড
৯১। তামার দেশ — জাম্বিয়া
৯২। অাফ্রিকার মুক্তা — উগান্ডা

Posted from WordPress for Android

মৌর্য বংশ বা সম্রাজ্য

◆ মৌর্য সম্রাজ্য কোন যুগের একটি বিস্তীর্ণ সম্রাজ্য?
উত্তর: লৌহযুগের।
◆ ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সম্রাজ্য কোনটি?
উত্তর: মৌর্য সম্রাজ্য।
◆ মৌর্য সম্রাজ্য কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উত্তর: সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমিতে অবস্থিত মগধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
◆ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কার সহযোগিতায় বিশাল মৌর্য সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: চণাক্য।
◆ চণাক্য কে ছিলেন?
উত্তর: তক্ষশীলার বাহ্মণ অাচার্য্য এবং বিষ্ণুর উপাসক।
◆ মৌর্য বাংশের প্রথম সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তর: চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
◆ মৌর্য সম্রাজ্যের রাজধানীর নাম কি ছিল?
উত্তর: পাটালিপুত্র।
◆ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনামলে কোন সম্রাট ভারত অাক্রমণ করে?
উত্তর: গ্রীক বীর অালেকজান্ডার।
◆ মৌর্য বংশের স্থায়ীকাল কত?
উত্তর: ১৩৭ বছর (খ্রিষ্ট পূর্ব ৩২২ থেকে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৮৫ পর্যন্ত)
◆ মৌর্য বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তর: সম্রাট অশোক।
◆ সম্রাট অশোকের শাসনামলে কোন যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর: কলিঙ্গের যুদ্ধ।
◆ কলিঙ্গের যুদ্ধের ভয়াবহতা লক্ষ্য সম্রাট অশোক কোন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: বৌদ্ধ ধর্ম।
◆ মৌর্য বংশের শেষ সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তর: বৃহদ্রথ।
◆ মৌর্য বংশের কিভাবে পতন ঘটে?
উত্তর: শেষ সম্রাট বৃহদ্রথ নিজ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ কর্তৃক নিহত হওয়ার পর, মৌর্য্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
◆ মৌর্য সম্রাজ্যের সম্রাটদের নাম নিচে দেওয়া হলো:
→ খ্রিঃপূঃ ৩২০-২৯৮ – চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য
→ খ্রিঃপূঃ ২৯৮-২৭২ – বিন্দুসার
→ খ্রিঃপূঃ ২৬৮-২৩২ – অশোক
→ খ্রিঃপূঃ ২৩২-২২৪ – দশরথ
→ খ্রিঃপূঃ ২২৪-২১৫ – সম্প্রতি
→ খ্রিঃপূঃ ২১৫-২০২ – শালিশুক
→ খ্রিঃপূঃ ২০২-১৯৫ – দেববর্মণ
→ খ্রিঃপূঃ ১৯৫-১৮৭ – শতধনবান
→ খ্রিঃপূঃ ১৮৭-১৮৫ – বৃহদ্রথ

Posted from WordPress for Android

বাংলা বানান শেখার কতিপয় নিয়ম

১. দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে উ-কার যোগে ‘দুর’ (‘দুর’ উপসর্গ) বা ‘দু+রেফ’ হবে। যেমন— দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।
২. দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে ঊ-কার যোগে ‘দূর’ হবে।
যেমন— দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।
৩. পদের শেষে ‘-জীবী’ ঈ-কার হবে।
যেমন— চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী,
কৃষিজীবী, আইনজীবী ইত্যাদি।
৪. পদের শেষে ‘-বলি’ (আবলি) ই-কার হবে।
যেমন— কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি ইত্যাদি।
৫. ‘স্ট’ এবং ‘ষ্ট’ ব্যবহার: বিদেশি শব্দে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে। বিশেষ করে ইংরেজি st যোগে শব্দগুলোতে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে।
যেমন—পোস্ট, স্টার, স্টাফ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, স্ট্যাটাস, মাস্টার, ডাস্টার, পোস্টার, স্টুডিও, ফাস্ট, লাস্ট, বেস্ট ইত্যাদি। ষত্ব-বিধান অনুযায়ী বাংলা বানানে ট-বর্গীয় বর্ণে ‘ষ্ট’ ব্যবহার হবে।
যেমন— বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, দৃষ্টি, মিষ্টি, নষ্ট, কষ্ট, তুষ্ট, সন্তুষ্ট ইত্যাদি।
৬. ‘পূর্ণ’ এবং ‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/
পুনরায়) ব্যবহার ‘পূর্ণ’ (ইংরেজিতে Full/Complete অর্থে) শব্দটিতে ঊ-কার এবং র্ণ যোগে ব্যবহার হবে।
যেমন— পূর্ণরূপ, পূর্ণমান, সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ ইত্যাদি।
‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়— ইংরেজিতে Re-অর্থে) শব্দটিতে উ-কার হবে এবং অন্য শব্দটির সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহার হবে।
যেমন— পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনঃপুন,
পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনরুদ্ধার, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন ইত্যাদি।
৭. পদের শেষে’-গ্রস্থ’ নয় ‘-গ্রস্ত’ হবে।
যেমন— বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত,
বিপদগ্রস্ত ইত্যাদি।
৮. অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে ই-কার হবে।
যেমন— অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।
৯. ‘কে’ এবং ‘-কে’ ব্যবহার: প্রশ্নবোধক অর্থে ‘কে’ (ইংরেজিতে Who অর্থে) আলাদা ব্যবহার হয়।
যেমন— হৃদয় কে? প্রশ্ন করা বোঝায় না এমন শব্দে ‘-কে’ এক সাথে ব্যবহার হবে।
যেমন—হৃদয়কে আসতে বলো।
১০. বিদেশি শব্দে ণ, ছ, ষ ব্যবহার হবে না।
যেমন— হর্ন, কর্নার, সমিল (করাতকল), স্টার, আস্সালামু আলাইকুম, ইনসান, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি।
১১. অ্যা, এ ব্যবহার: বিদেশি বাঁকা শব্দের উচ্চারণে ‘অ্যা’ ব্যবহার হয়।
যেমন— অ্যান্ড (And), অ্যাড (Ad/Add), অ্যাকাউন্ট (Account), অ্যাম্বুলেন্স
(Ambulance), অ্যাসিস্ট্যান্ট (Assistant), অ্যাডভোকেট (Advocate), অ্যাকাডেমিক (Academic), অ্যাডভোকেসি (Advocacy) ইত্যাদি।
অবিকৃত বা সরলভাবে উচ্চারণে ‘এ’ হয়। যেমন—এন্টার (Enter), এন্ড (End), এডিট (Edit) ইত্যাদি।
১২. ইংরেজি বর্ণ S-এর বাংলা প্রতিবর্ণ হবে ‘স’ এবং sh, -sion, -tion শব্দগুচ্ছে ‘শ’ হবে।
যেমন— সিট (Seat/Sit), শিট, (Sheet), রেজিস্ট্রেশন (Registration), মিশন (Mission) ইত্যাদি।
১৩. আরবি বর্ণ ﺵ ( শিন)-এর বাংলা বর্ণ রূপ হবে ‘শ’ এবং ﺙ ( সা ) , ﺱ ( সিন) ও ﺹ ( সোয়াদ)-এর বাংলা বর্ণ
রূপ হবে ‘স’। ﺙ ( সা ) , ﺱ ( সিন) ও ﺹ ( সোয়াদ)-এর উচ্চারিত রূপ মূল শব্দের মতো হবে এবং বাংলা বানানের ক্ষেত্রে ‘স’ ব্যবহার হবে।
যেমন— সালাম, শাহাদত, শামস্, ইনসান ইত্যাদি। আরবি, ফারসি, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা থেকে আগত শব্দসমূহে ছ, ণ ও ষ ব্যবহার হবে না।
১৪. শ ষ স তৎসম শব্দে ষ ব্যবহার হবে। খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে ষ ব্যবহার হবে না। বাংলা বানানে ‘ষ’ ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ষত্ব-বিধান, উপসর্গ, সন্ধি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। বাংলায় অধিকাংশশব্দের উচ্চারণে ‘শ’ বিদ্যমান। এমনকি ‘স’ দিয়ে গঠিত শব্দেও ‘শ’ উচ্চারণ হয়। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ বাংলায় খুবই কম। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে— সমীর, সাফ, সাফাই। যুক্ত বর্ণ, ঋ-কার ও র- ফলা যোগে যুক্তধ্বনিতে ‘স’-এর উচ্চারণ পাওয়া যায়।
যেমন— সৃষ্টি, স্মৃতি, স্পর্শ, স্রোত, শ্রী,
আশ্রম ইত্যাদি।
১৫. সমাসবদ্ধ পদ ও বহুবচন রূপী শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক রাখা যাবে না।
যেমন— চিঠিপত্র, আবেদনপত্র, ছাড়পত্র (পত্র), বিপদগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত (গ্রস্ত), গ্রামগুলি/গ্রামগুলো (গুলি/ গুলো), রচনামূলক (মূলক), সেবাসমূহ (সমূহ), যত্নসহ, পরিমাপসহ (সহ), ত্রুটিজনিত, (জনিত), আশঙ্কাজনক, বিপজ্জনক (জনক), অনুগ্রহপূর্বক, উল্লেখপূর্বক (পূর্বক), প্রতিষ্ঠানভুক্ত,  এমপিওভুক্ত, এমপিওভুক্তি (ভুক্ত/ভুক্তি), গ্রামভিত্তিক, এলাকাভিত্তিক, রোলভিত্তিক (ভিত্তিক), অন্তর্ভুক্তকারণ, এমপিওভুক্তকরণ, প্রতিবর্ণীকরণ (করণ), আমদানিকারক, রফতানিকারক (কারক), কষ্টদায়ক, আরামদায়ক (দায়ক), স্ত্রীবাচক (বাচক), দেশবাসী, গ্রামবাসী, এলাকাবাসী (বাসী), সুন্দরভাবে, ভালোভাবে (ভাবে), চাকরিজীবী, শ্রমজীবী (জীবী), সদস্যগণ (গণ), সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী (কারী), সন্ধ্যাকালীন, শীতকালীন (কালীন), জ্ঞানহীন (হীন), দিনব্যাপী, মাসব্যাপী, বছরব্যাপী (ব্যাপী) ইত্যাদি। এ ছাড়া যথাবিহিত, যথাসময়, যথাযথ, যথাক্রমে, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহিঃপ্রকাশ শব্দগুলো একত্রে ব্যবহার হয়।
১৬. বিদেশি শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, ফি, ফিস, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেন্ডশিপ, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট ইত্যাদি।
১৭. উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ।
এক্ষেত্রে অনুস্বার (ং) ব্যবহার করা যাবে না।
যেমন— অঙ্ক, অঙ্কন, অঙ্কিত, অঙ্কুর, অঙ্গ,
অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙ্গুল/আঙুল, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উলঙ্গ, কঙ্কর, কঙ্কাল, গঙ্গা, চোঙ্গা/চোঙা, টাঙ্গা, ঠোঙ্গা/ঠোঙা, দাঙ্গা, পঙ্ক্তি, পঙ্কজ, পতঙ্গ, প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, বঙ্গ, বাঙালি/বাঙ্গালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙ্গা/ভাঙা, মঙ্গল, রঙ্গিন/রঙিন, লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্ক, শঙ্খ, শশাঙ্ক, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্ঘাত, সঙ্গে, হাঙ্গামা, হুঙ্কার।
১৮. অনুস্বার (ং) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ।
এক্ষেত্রে উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার করা যাবে না।
যেমন— কিংবদন্তী, সংজ্ঞা, সংক্রামণ, সংক্রান্ত,
সংক্ষিপ্ত, সংখ্যা, সংগঠন, সংগ্রাম, সংগ্রহ, সংগৃহীত।
[দ্রষ্টব্য: বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ দুটি অনুস্বার (ং) দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।]
১৯. ‘কোণ, কোন ও কোনো’-এর ব্যবহার কোণ : ইংরেজিতে Angle/Corner (∠) অর্থে।
কোন : উচ্চারণ হবে কোন্। বিশেষত
প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার করা হয়।
যেমন— তুমি কোন দিকে যাবে?
কোনো : ও-কার যোগে উচ্চারণ হবে।
যেমন— যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।
২০. বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দু একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ। চন্দ্রবিন্দু যোগে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হবে; না করলে ভুল হবে। অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার না করলে শব্দে অর্থের পরিবর্তন ঘটে। এ ছাড়া চন্দ্রবিন্দু সম্মানসূচক বর্ণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
যেমন— তাহাকে>তাঁহাকে, তাকে>তাঁকে ইত্যাদি।
২১. ও-কার: অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া পদ এবং বিশেষণ ও অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে ও-কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব সৃষ্টি হতে পারে এমন শব্দে ও-কার ব্যবহার হবে।
যেমন— মতো, হতো, হলো, কেনো (ক্রয় করো), ভালো, কালো, আলো ইত্যাদি। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া ও-কার ব্যবহার করা যাবে না।
যেমন— ছিল, করল,যেন, কেন (কী জন্য), আছ, হইল, রইল, গেল, শত, যত, তত, কত, এত ইত্যাদি।
২২. বিশেষণবাচক আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে।
যেমন— সোনালি, রুপালি, বর্ণালি, হেঁয়ালি, খেয়ালি, মিতালি ইত্যাদি।
২৩. জীব, -জীবী, জীবিত, জীবিকা ব্যবহার।
যেমন— সজীব, রাজীব, নির্জীব, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, জীবিত, জীবিকা।
২৪. অদ্ভুত, ভুতুড়ে বানানে উ-কার হবে। এ ছাড়া সকল ভূতে ঊ-কার হবে।
যেমন— ভূত, ভস্মীভূত, বহির্ভূত, ভূতপূর্ব ইত্যাদি।
২৫. হীরা ও নীল অর্থে সকল বানানে ঈ-কার হবে।
যেমন— হীরা, হীরক, নীল, সুনীল,
নীলক, নীলিমা ইত্যাদি।
২৬. নঞর্থক পদগুলো (নাই, নেই, না, নি) আলাদা করে লিখতে হবে।
যেমন— বলে নাই, বলে নি, আমার ভয় নাই, আমার ভয় নেই, হবে না, যাবে না।
২৭. অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে।
যেমন— সরকারি, তরকারি, গাড়ি, বাড়ি, দাড়ি, শাড়ি, চুরি, চাকরি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বেআইনি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, নিচু।
২৮. ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে ই-কার হবে।
যেমন— দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা
(প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী
(দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ (প্রাণী) ইত্যাদি।
২৯. ঈ, ঈয়, অনীয় প্রত্যয় যোগ ঈ-কার হবে।
যেমন— জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি ), পানীয় (পানি), জলীয়, স্থানীয়, স্মরণীয়, বরণীয়, গোপনীয়, ভারতীয়, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়।
৩০. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷
যেমন— অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য৷
৩১. ভাষা ও জাতিতে ই-কার হবে। যেমন— বাঙালি/বাঙ্গালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি।
৩২. ব্যক্তির ‘-কারী’-তে (আরী) ঈ-কার হবে।
যেমন— সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি। ব্যক্তির ‘-কারী’ নয়, এমন শব্দে ই-কার হবে।
যেমন— সরকারি, দরকারি ইত্যাদি।
৩৩. প্রমিত বানানে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে –গণ যোগে ই-কার হয়।
যেমন— সহকারী>সহকারিগণ, কর্মচারী>কর্মচারিগণ,
কর্মী>কর্মিগণ, আবেদনকারী>আবেদনকারিগণ
ইত্যাদি।
৩৪. ‘বেশি’ এবং ‘-বেশী’ ব্যবহার: ‘বহু’, ‘অনেক’ অর্থে ব্যবহার হবে ‘বেশি’। শব্দের শেষে
যেমন— ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী অর্থে ‘-
বেশী’ ব্যবহার হবে।
৩৫. ‘ৎ’-এর সাথে স্বরচিহ্ন যোগ হলে ‘ত’ হবে।
যেমন— জগৎ>জগতে জাগতিক, বিদ্যুৎ>বিদ্যুত  ে বৈদ্যুতিক, ভবিষ্যৎ>ভবিষ্যতে, আত্মসাৎ>আত্মসাত ে, সাক্ষাৎ>সাক্ষাত ে ইত্যাদি।
৩৬. ইক প্রত্যয় যুক্ত হলে যদি শব্দের প্রথমে অ-কার থাকে তা পরিবর্তন হয়ে আ-কার হবে।
যেমন— অঙ্গ>আঙ্গিক, বর্ষ>বার্ষিক,
পরস্পর>পারস্পরিক, সংস্কৃত>সাংস্কৃতিক, অর্থ>আর্থিক, পরলোক>পারলৌকিক, প্রকৃত>প্রাকৃতিক, প্রসঙ্গ>প্রাসঙ্গিক, সংসার>সাংসারিক, সপ্তাহ>সাপ্তাহিক, সময়>সাময়িক, সংবাদ>সাংবাদিক, প্রদেশ>প্রাদেশিক, সম্প্রদায়>সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি।
৩৭. সাধু থেকে চলিত রূপের শব্দসমূহ যথাক্রমে দেখানো হলো: আঙ্গিনা>আঙিনা, আঙ্গুল>আঙুল, ভাঙ্গা>ভাঙা, রাঙ্গা>রাঙা, রঙ্গিন>রঙিন, বাঙ্গালি>বাঙালি, লাঙ্গল>লাঙল, হউক>হোক, যাউক>যাক, থাউক>থাক, লিখ>লেখ, গুলি>গুলো, শুন>শোন, শুকনা>শুকনো, ভিজা>ভেজা, ভিতর>ভেতর, দিয়া>দিয়ে, গিয়া>গিয়ে, হইল>হলো, হইত>হতো, খাইয়া>খেয়ে, থাকিয়া>থেকে, উল্টা>উল্টো, বুঝা>বোঝা, পূজা>পুজো, বুড়া>বুড়ো, সুতা>সুতো, তুলা>তুলো, নাই>নেই, নহে>নয়, নিয়া>নিয়ে, ইচ্ছা>ইচ্ছে ইত্যাদি।
৩৮. হয়তো, নয়তো বাদে সকল তো আলাদা হবে।
যেমন— আমি তো যাই নি, সে তো আসে নি ইত্যাদি।
[দ্রষ্টব্য: মূল শব্দের শেষে আলাদা তো
ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।]
৩৯. ঙ, ঞ, ণ, ন, ং বর্ণের পূর্বে ঁ হবে না।
যেমন— খান (খাঁ), চান, চন্দ (চাঁদ), পঞ্চ, পঞ্চাশ (পাঁচ) ইত্যাদি।
৪০. -এর, -এ ব্যবহার:
=> চিহ্নিত শব্দ/বাক্য বা উক্তির সাথে সমাসবদ্ধ রূপ।
যেমন— গুলিস্তান ‘ভাসানী হকি ষ্টেডিয়াম’-এর সাইনবোর্ডে স্টেডিয়াম বানানটি ভুল।
=> শব্দের পরে যেকোনো প্রতীকের
সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— বিসর্গ (ঃ )-এর সঙ্গে স্বরধ্বনি কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গসন্ধি বলে।
=> বিদেশি শব্দ অর্থাৎ বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ নয় এমন শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— SMS-এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে।
=> গাণিতিক শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— ৫-এর চেয়ে ২ কম।
=> সংক্ষিপ্ত শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন—
অ্যাগ্রো কোম্পানি লি.-এর সাথে চুক্তি।
এ ছাড়া পৃথক রূপে ব্যবহার করা যাবে না।
যেমন— বাংলাদেশ-এর না লিখে বাংলাদেশের, কোম্পানি-এর না লিখে কোম্পানির, শিক্ষক-এর না লিখে শিক্ষকের, স্টেডিয়াম-এ না লিখে স্টেডিয়ামে, অফিস-এ না লিখে অফিসে লিখতে হবে।

ম -ফলা ও ব-ফলার উচ্চারণ:
ম -ফলার উচ্চারণ:
ক. পদের প্রমে ম-ফলা থাকলে সে বর্ণের
উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— শ্মশান ( শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)।
কখনো কখনো ‘ম’ অনুচ্চারিত থাকতে ও পারে।
যেমন— স্মৃতি (সৃতি বা সৃঁতি)।
খ. পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে
উচ্চারণে সে বর্ণের দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য
নাসিক্যস্বর হয়।
যেমন— আত্মীয় (আত্তিঁয়), পদ্ম (পদ্দোঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়), ভস্মস্তূপ (ভশ্শোঁস্তুপ্), ভস্ম (ভশ্শোঁ), রশ্মি (রোশ্শিঁ)।
গ. গ, ঙ, ট, ণ, ন, বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়।
যেমন— বাগ্মী (বাগ্মি), যুগ্ম (যুগ্মো), মৃন্ময় (মৃন্ময়), জন্ম (জন্মো), গুল্ম (গুল্মো)।

ব -ফলার উচ্চারণ:
ক. শব্দের প্রমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন— ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্তো), শ্বাস (শাশ্),
স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দন্দো)।
খ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন— বিশ্বাস (বিশ্শাশ্), পক্ব (পক্কো), অশ্ব (অশ্শো)।
গ. সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে।
যেমন— দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়)।
ঘ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে।
যেমন— তিব্বত (তিব্বত), লম্ব (লম্বো)।
ঙ. উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে।
যেমন— উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বেল (উদ্বেল্)

প্রয়োজনীয় কিছু শুদ্ধ বানানঃ
১. উজ্জ্বল, জ্বলজ্বলে, জ্বলন্ত, জ্বালানি,
প্রাঞ্জল, অঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি,গীতাঞ্জলি।
২. পেশাজীবী, কর্মজীবী, ক্ষণজীবী, দীর্ঘজীবী, বুদ্ধিজীবী, অভিমানী, প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিযোগী, মেধাবী, প্রতিরোধী একাকী, দোষী, বৈরী, মনীষী, সঙ্গী।
৩. উন্নয়নশীল, দানশীল, উৎপাদনশীল, ক্ষমাশীল, নির্ভরশীল, দায়িত্বশীল, সুশীল, ধৈর্যশীল।
৪. অধ্যক্ষ, প্রতীক, ব্যাখ্যা,আকস্মিক, মূর্ছা, ক্ষীণ, মুখমণ্ডল, অনুরণন, হাস্যাস্পদ, সালিস, সত্বর, উচ্ছ্বসিত, স্বেচ্ছাচারী, কর্মচারী,বিচি, বাণী, শ্বশুর,শাশুড়ি ।
৫. ইতোমধ্যে, পরিপক্ব, লজ্জাকর, ভাস্কর, দুষ্কর, সুষমা, নিষিদ্ধ ষোড়শ, নিষ্পাপ, কলুষিত, বিষন্নতা, ওষ্ঠ, সম্মুখ, সম্মান, সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা, আনুষঙ্গিক, রূদ্ধশ্বাস, দুর্নাম, অন্তঃস্থল, নগণ্য, আতঙ্ক, জটিল, গগণ, তিথি, অতিথি।

Posted from WordPress for Android

ভাইরাস

১. ভাইরাস একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ বিষ। (মানুষ আগে জানতো না যে কেন ভাইরাল রোগ হয়, তাই বিষ মনে করতো, যদিও ভাইরাস আসলে তা না।)
২. ১৮৯২ সালে সর্বপ্রথম ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণ করেন আইভানোভস্কি, তামাকের মোজাইক ভাইরাস। (তখন ব্যাকটেরিয়ার কথা মানুষ জানতো, কিন্তু তিনি দেখেন যে এই জীবটা ঠিক ব্যাকটেরিয়া না, অন্য কিছু।)
৩. ১৯৩৫ সালে স্ট্যানলি প্রথমবারের কোন ভাইরাস হিসেবে তামাকের মোজাইক ভাইরাসকে কেলাসিত করতে সক্ষম হন। ১১ বছর পর ১৯৪৬ সালে তিনি এ জন্য নোবেল পুরষ্কার পান।
৪. ভাইরাস-এ প্রোটিন আবরণীর ভিতরে নিউক্লিক এসিড থাকে।
৫. আকৃতি অনুসারে বেশ কিছু ভাগে (৫ ভাগ) কিন্তু নিউক্লিক এসিডের ধরণ অনুযায়ী ভাইরাস দু’ভাগে ভাগ করা হয়:
যথা: ডিএনএ (DNA) ভাইরাস এবং আরএনএ (RNA) ভাইরাস।
৬. আকৃতি অনুযায়ী ভাইরাসের শ্রেণিবিন্যাস:
(এখান থেকে অবজেকটিভ আসার সম্ভাবনা কম, তবুও এসে যেতে পারে, তাই গুরুত্বপূর্ণ গুলো জেনে রাখা ভালো।)
ক. দণ্ডাকার: টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (যে ভাইরাসটি নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা হয়েছিল।)
খ. গোলাকার: পোলিও, ডেঙ্গু, এইডস এর HIV ভাইরাস। (খুব ভয়াবহ ও পরিচিত রোগ সমূহ)
গ. ব্যাঙাচি আকার: T2 ফায ভাইরাস। (TMV এর সাথে যেন না মিলে যায়, T2 ভাইরাস অনেকটা এলিয়েন শিপ-এর মত)
ঘ. ডিম্বাকার: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
ঙ. পাউরুটির মত: ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস।
৭. RNA ভাইরাস ও DNA ভাইরাসের পার্থক্য:
ক. RNA ভাইরাস সাধারণত উদ্ভিদে রোগ সৃষ্টি করে, আর DNA ভাইরাস সাধারণত প্রাণীকে আক্রমণ করে। যদিও প্রাণীতেও অনেক RNA ভাইরাস রোগ সৃষ্টি করে।
খ. RNA ভাইরাস দণ্ডাকার বা সূত্রাকার, কিন্তু DNA ভাইরাসের অন্যান্য সব আকৃতি।
গ. RNA ভাইরাস একসূত্রক, এবং DNA ভাইরাস দ্বিসূত্রক। (RNA সাধারণত একসূত্রক হয়, আর DNA দ্বিসূত্রক)
৮. সংক্রমনক্ষম ভাইরাসকে ভিরিয়ন বলে। (প্রশ্নের অপশনে ভিরয়েড টার্ম টা থাকলে কনফিউশন হতে পারে। ভিরয়েড হচ্ছে কেবল নিউক্লিক এসিড, যার প্রোটিন আবরণ নেই, আবার প্রিয়ন হল এমন প্রোটিন আবরণ, যার মাঝে নিউক্লিক এসিড নেই। প্রোটিনের জন্য প্রিয়ন, আর নিউক্লিক এসিড থাকার জন্য ভিরয়েড, দুই মিলে ভিরিয়ন, যেখানে প্রোটিন আবরণও আছে, আবার ভেতরে নিউক্লিক এসিডও আছে)
৯. বাইরের প্রোটিন আবরণকে ক্যাপসিড বলা হয়। (নিউক্লিক এসিডের ক্যাপ)
১০. ক্যাপসিডের স্তরের অ্যান্টিজেনিক বৈশিষ্ট্য আছে। (এন্টিজেনিক বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হতে পারে। এই এন্টিজেনিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে যেমন পোলিও রোগের টিকা দেওয়া হয়, ফলে আমাদের দেহে আগে থেকেই পোলিও রোগের বিরূদ্ধে অ্যান্টিবডি থাকে।)
১১. যে ভাইরাসের সংক্রামণ ক্ষমতা নেই, কিন্তু নিউক্লিক এসিড ও ক্যাপসিড, দু’টোই থাকে, তাকে নিউক্লিওক্যাপসিড বলে।
১২. একই ভাইরাসে হয় RNA নয়তো DNA অবস্থান করে, কিন্তু দু’টোই একসাথে অবস্থান করে না।
১৩. গবাদি পশুর ফুট এন্ড মাউথ রোগ-এর ভাইরাস সবচেয়ে ছোট, সবচেয়ে বড় ভাইরাস ভ্যারিওলা।
১৪. TMV ভাইরাস দণ্ডাকার, এটি একসূত্রক RNA বহন করে।
১৫. ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস এর মধ্যে DNA থাকে, বাইরে চর্বিজাতীয় পদার্থের আবরণ রয়েছে।
১৬. T2 ফায এর নিউক্লিক এসিড দ্বিসূত্রক DNA, দেহ দু’টি অংশে ভাগ করা যায়: মাথা ও লেজ ।
১৭. HIV ভাইরাসে একসূত্রক দু’টি RNA এবং দু’টি রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেজ থাকে। (রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ এর কাজ হচ্ছে যে RNA থেকে রিভার্স করে যে DNA-এ তে পরিণত করা।)
১৮. HIV ভাইরাস মানবদেহের শ্বেতকণিকার ম্যাক্রোফাজ ও T-cell কে ধ্বংস করে।
১৯. ক্যাপসিডের বাইরে দ্বিস্তরী লিপিড থাকে, যাকে গ্লাইকোপ্রোটিন বলে।
২০. এবিওলা ভাইরাসের আক্রমণে দেহের কোষ ফেটে যায়, আফ্রিকায় মহামারীরূপে এই রোগ হয়।
২১. BMV=Bean (সিম) Mosaic Virus
২২. টুংগ্রো ভাইরাসের পোষক দেহ ধান।
২৩. বসন্ত এর জন্য ভ্যারিওলা ভাইরাস দায়ী আর হামের জন্য রুবিওলা ভাইরাস দায়ী। (ভ্যারিওলা বৃহত্তম ভাইরাস, “ব” দিয়ে তেমন “বসন্ত”, এভাবে দু’টো ভাইরাস, ভ্যারিওলা ও রুবিওলা সৃষ্ট রোগের মধ্যে কনফিউশন দূর করা যায়)
২৪. লাল টিউলিপ ফুলে সৌন্দর্যমণ্ডিত সাদা দাগ হবার জন্য দায়ী ভাইরাস।

Posted from WordPress for Android

উদ্ভিদবিজ্ঞানের শ্রেণিবিন্যাস

১. শ্রেণিবিন্যাসের ধাপগুলো হচ্ছে:
Kingdom > Division/Phylum > Class > Order > Family > Genus > Species
(৩য়, ৪র্থ ও ৫ম ধাপ গুলো নিয়ে মাঝে মাঝে সমস্যা হয় ক্রম কি, তা বুঝতে গিয়ে। যেমন “COF” মনে রাখা যেতে পারে।)
২. ICBN স্বীকৃত সমাপ্তিজ্ঞাপক বর্ণমালা:
Kingdom/ Division – “phyta”
Class – “opsida”
Order – “ales”
Family – “aceae”
(এখানে কনফিউশন এড়ানোর জন্য কিছু টিপস: solanaceae, malvaceae, এগুলো ফ্যামিলির নাম, এসব মনে রাখা যেতে পারে, আর Order এর জন্য কিন্তু Opsida না, “ales”, আর Bryophyta, Thallophyta, এভাবে কিছুটা মনে রাখা যেতে পারে।)
৩. ক্যারোলাস লিনিয়াস ১৭৫৩ সালে Species Plantarum গ্রন্থটি প্রণয়ন করেন। (সালটা ডিএনএ হেলিক্সের গঠন ওয়াটসন ও ক্রীকের আবিষ্কারের সনের সাথে মিলে যায়, ১৯৫৩ সাল। আর Historia Plantarum লেখেন History-এর অনেক আগের থিওফ্রাস্টাস। এই কনফিউশনটা যেন না থাকে।)
৪. থিওফ্রাস্টাস কে উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনিই উদ্ভিদসমূহকে বৃক্ষ, উপগুল্ম, গুল্ম, বীরুৎ এই চার শ্রেণিতে ভাগ করেন।
৫. Historia Plantarum গ্রন্থে ৪৮০টি উদ্ভিদের বর্ণনা ছিল।
৬. দ্বিপদ নামকরণ লেখার অক্ষরবিন্যাস ইটালিক, কিন্তু ভাষা ল্যাটিন।
৭. “জন রে” Dicot আর Monocot উদ্ভিদ দুই ভাগে প্রথম ভাগ করেন যা পরে বেন্থাম-হুকারের শ্রেণিবিন্যাসে জায়গা করে নেয়।
৮. উদ্ভিদ জগতকে অপুস্পক (Imperfecti) এবং পুস্পক (perfecti) এ দুই ভাগে বিভক্ত করেন “জোসেফ পিটন দি টুর্নেফোর্ট”।
৯. ভারতবর্ষের লিনিয়াস বলা হয় “উইলিয়াম রক্সবার্গ” কে।
১০. ক্যারোলাস লিনিয়াস কে আধুনিক শ্রেণিকরণবিদ্যার জনক বলা হয়। তার Species Palntarum বই-এ ৭৩০০ প্রকারের উদ্ভিদের বর্ণনা ছিল। লিঙ্গভিত্তিক কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি তিনি প্রণয়ন করেন।
১১. মাইকেল অ্যাডনসন সর্বপ্রথম কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির ধারণা বাতিল করে প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির শুরু করেন।
১২. বেন্থাম ও হুকারের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি Genera Plantarum বই-এ প্রকাশ করেন। এটিই সর্বশেষ প্রাচীন প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি।
১৩. এভুলেশন বা বিবর্তনের তত্ত্ব অনুসারে করা প্রথম জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস এঙ্গলার-প্রান্টলের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি।
১৪. উদ্ভিদজগতের শ্রেণিবিন্যাস তিন পদ্ধতিতে করা হয়, কৃত্রিম, প্রাকৃতিক ও জাতিজনি (Phylogenetic) শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি।
থিওফ্রাস্টাস থেকে শুরু করে লিনিয়াস পর্যন্ত কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস।
মাইকেল অ্যাডানসন থেকে বেন্থাম হুকার – প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস।
এঙ্গলার-প্রান্টল থেকে জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি শুরু ও বর্তমানে গৃহীত।
১৫. সরিষা, গম, এরা বর্ষজীবী বীরুৎ।
বাঁধাকপি, মূলা দ্বিবর্ষজীবী বীরুৎ। প্রধানত শীতকালীন সবজি।
বহুবর্ষজীবী বীরুৎ-এর উদাহরণ: হলুদ গাছ, দুর্বাঘাস।
কল্কাসুন্দা = উপগুল্ম
গুল্ম = কাগজিলেবু, জবা
বৃক্ষ = অন্যান্য সকল বড় বড় গাছ।
(শীতকালীন সবজি দ্বিবর্ষজীবী, খাদ্য শস্য এক বর্ষ জীবী, আর লেবু ও জবা গাছ দেখে থাকলে সেটাও মনে রাখা যায় যে গুল্ম, বাকি কল্কাসুন্দা সাধারণত একটা অপরিচিত গাছ, যেটা একটু ছোট। এভাবে একটু ভেবে নিলে এখান থেকে আসা বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সঠিক উত্তর করা সম্ভব।)
১৬. বেন্থাম ও হুকার দুইটি উপজগতে সমস্ত উদ্ভিদজগতকে ভাগ করেন: বীজহীন অপুষ্পক আর সবীজ পুষ্পক। (জোসেফ পিটন করেন অপুষ্পক ও পুষ্পক)
১৭. অপুষ্পক উদ্ভিদ তিন ভাগে: থ্যালোফাইটা, ব্রায়োফাইটা, (প)টেরিডোফাইটা। পুষ্পক উদ্ভিদ দুইভাগে: নগ্নবীজি ও আবৃতবীজী।
(এইচএসসি তে বড় প্রশ্ন উতর করার জন্য এই শ্রেণিবিন্যাসটা অনেক গভীর ভাবে পড়া হয়, এখানে ওভাবে না পড়ে কিছু কি-পয়েন্ট মনে রাখা প্রয়োজন। নিচে তেমন কিছু দেওয়া হল:)
১৮. থ্যালোফাইটায় মূল, কাণ্ড, পাতা নেই, সব প্রায় একই রকম, এজন্যই সমাঙ্গবর্ণ বলা হয়। গাছের মত একটা আকৃতি এদের থাকে না, যেমনটা অন্যদের থাকে।
১৯. ব্রায়োফাইটায় পাতা ও কাণ্ড থাকে, তবে মূল না থেকে রাইজয়েড থাকে। এটাই টেরিডোফাইটার সাথে এদের পার্থক্য।
২০. টেরিডোফাইটায় মূল, কাণ্ড ও পাতা আছে, পরিবহণ টিস্যুতন্ত্রও আছে। ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ।
২১. গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ:
শৈবাল = spirogyra, volvox, polysiphonia
ছত্রাক = Mucor, Agaricus, Penicillium
ব্রায়োফাইটা = Riccia, Marchantia, Bryum,
টেরিডোফাইটা = Pteris, Dryopteris
২২. প্রজাতির সংখ্যা:
থ্যালোফাইটা = ১,১০,০০০ টি
ব্রায়োফাইটা = ২৩,০০০ টি
টেরিডোফাইটা = ১০,০০০ টি
২৩. জিমনোস্পার্মি নগ্নবীজী আর অ্যাঞ্জিওস্পার্মি আবৃতজীবী।
(এখানে একটা কনফিউশন হতে পারে যে জিমনোস্পার্মি একটা পজিটিভ শব্দ মনে হয় আর অ্যানজিওস্পার্মি শব্দে কোন কিছুর অভাব বোঝাতে যেন শুরতে a ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু জিমনোস্পার্মি কথাটা গ্রিক ভাষা থেকে আসা, যার অর্থই “নগ্ন বীজ”, আর অ্যানজিওস্পার্মি কথাটা অন্যভাবে এসেছে, পাতায় যে সমান্তরাল বা জালের মত শিরা দেখা যায়, ওটার সাথে সম্পর্ক যুক্ত, কিন্তু নগ্নবীজীতে পাতা কাটা কাটা থাকে।)
২৪. জিমনোস্পার্মি অনেক কম, আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, প্রায় ৭০০।
২৫. ডাইকটিলিডনি এর “ডাই” অংশটা বোঝায় দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ, আর মনোকটিলিডনের “মনো” অংশটা বোঝায় একবীজপত্রী।
(দ্বিবীজপত্রী আম গাছ আর একবীজপত্রী ধান গাছকে ভেবে পার্থক্য করলেই কিছু মৌলিক পার্থক্য সহজে মনে থাকবে। ধান পাছের পাতায় যেমন একটা সমান্তরাল শিরাবিন্যাস থাকে, কিন্তু আম গাছের পাতায় জালিকাকার শিরাবিন্যাস থাকে। ধান গাছের মূল ছোট, অস্থানিক, কিন্তু আম গাছের মূল অনেক শক্তিশালী, প্রধান মূলতন্ত্র বিদ্যমান।)
২৬. সপুষ্পক উদ্ভিদের সর্বাধুনিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি গণ্য করা হয় ড. আরমেন তাখতাজান-এর শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি।
২৭. মারগুলিস সমগ্র জীবজগতকে দুইটি সুপার কিংডম-এর আওতায় পাঁচটি জগত বা কিংডম-এ ভাগ করেন। যথা:
ক. প্রোক্যারিওটা বা আদিকোষী (প্রো দিয়ে পূর্বের বোঝানো হয়)
খ. ইউক্যারিওটা বা প্রকৃতকোষী
২৮. প্রোক্যারিওটের কোষের ভিতরে কোন অঙ্গাণু থাকে না, শুধুমাত্র নিউক্লিয়ার পদার্থ অর্থাৎ ডিএনএ থাকে আর রাইবোজোম থাকে যার ফলে ডিএনএ থেকে প্রোটিন তৈরি হতে পারে।
২৯. প্রোক্যারিওটে অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় এদের কোষ বিভাজন ঘটে, যেখানে ইউক্যারিওটে মাইটোসিস ও মিয়োসিস প্রক্রিয়া বিরাজমান।
৩০. প্রোক্যারিওটে বংশবৃদ্ধি হয় দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায়।
৩১. প্রোটকটিস্টা এককোষী বা বহুকোষী, এদের নিউক্লিয়াসসহ অন্যান্য অঙ্গাণু আছে। তবে এরা অনুন্নত, তাই ভ্রূণ নেই, কনজেগুশনের মাধ্যমে প্রজনন ঘটে।
৩২. অ্যামিবা, শৈবাল প্রোটকটিস্টার অন্তর্ভুক্ত।
৩৩. প্রোটকটিস্টায় সালোকসংশ্লেষণকারী রঞ্জক পদার্থ থাকতে পারে, কিন্তু ফানজাই তে অবশ্যই থাকে না।
৩৪. ফানজাই-এর কোষপ্রাচীর “কাইটিন” দ্বারা নির্মিত।
৩৫. প্রোটকটিস্টা যেমন কনজেগুশন প্রক্রিয়ায় প্রজনন করতো, তেমনি ফানজাই তে হ্যাপ্লয়েড স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
৩৬. Saccharomyces cerevisiae বা ঈস্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ ফানজাই, এছাড়াও Mucor, Agaricur গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ ফানজাই-এর।
৩৭. প্ল্যান্টির কোষপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত। সেলুলোজ একটি শর্করা, গ্লুকোজের অনেক গুলো অণু নিয়ে গঠিত পলিমার।
৩৮. ব্রায়োফাইটা গ্যামেটোফাইট এবং ট্র্যাকিওফাইটা স্পোরোফাইটিক। (এটি নিয়ে কনফিউশন হয়। ইংরেজিতে b আগে, তাই g আগে হবে, আর t পরে, তাই s পরে হবে।)
৩৯. ব্রায়োফাইটায় তিনটা ফাইলাম আর ট্র্যাকিওফাইটায় আটটা ফাইলাম।
৪০. ব্রায়োফাইটায় পরিবহন তন্ত্র নেই, কিন্তু ট্র্যাকিওফাইটায় পরিবহনতন্ত্র আছে। (পরিবহন টিস্যুতন্ত্রে ট্রাকিয়া আছে, এভাবে মনে রাখা যায় যে ট্র্যাকিওফাইটায় পরিবহনতন্ত্র আছে।)
৪১. প্রোক্যারিয়টে রাইবোসোম ক্ষুদ্র, শুধুমাত্র 70S। কিন্তু উন্নততর ইউক্যারিওটে 70S এবং 80S দুটোই রয়েছে।
৪২. প্রোক্যারিওটে DNA বৃত্তাকার ও ইউক্যারিয়টে লম্বাকার। (এটা মনে রাখা যেতে পারে যে ছোট, তাই বৃত্ত গঠন করে থাকে, যত লম্বা হবে, বৃত্ত গঠন করা অতটাই কঠিন হবে। এছাড়া যে ক্রোমোজোম টা আমরা বই-এ দেখি, সেটি লম্বা, বৃত্তাকার না।)
৪৩. অপেরন প্রোক্যারিওটে আছে, কারণ এটা একটা বিশেষ মেকানিজম যেটা ছোট জিনোমের জন্য লাগে। ইউক্যারিওটের জিনোম অনেক বড়, তাই অপেরন লাগে না।

Posted from WordPress for Android

পদার্থবিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণা ও পরিমাপ

পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথমিক ধারণা:
★ নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক অালফ্রেড নোবেল ধনী হয়েছিলেন – উন্নত ধরণের ডিনামাইট অাবিষ্কার করে।
★ স্টিফেন হকিং বিশ্বের একজন খুব বিখ্যাত — পদার্থবিদ।
★ বিদ্যুৎকে সাধারণ মানুষের কাজে লাগানোর জন্য কোন বৈজ্ঞানিকের অবদান সবচেয়ে বেশি – টমাস অালভা এডিসন।
★ সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয় – প্রতিধ্বনির সাহায্যে।
সূর্যই যে সৌরজগতের কেন্দ্র এবং পৃথিবী ও গ্রহগুলো তার চারিদিকে ঘুরে চলেছে – একথা প্রথম বলেছেন — কোপার্নিকাস
★ বিজ্ঞানে দুইবার নোবেল নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন – মাদাম কুরি।
★ MKS পদ্ধতিতে ভরের একক – কিলোগ্রাম।
★ ১ মিটার সমান — ৩৯.৩৭ ইঞ্চি।
★ ১ বর্গ ইঞ্চি সমান ৬.৪৫ বর্গসেন্টিমিটার
★ এক কুইন্টাল সমান — ১০০ কেজি।
★ পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ হচ্ছে প্রায় — ৬৩৭১ কিলোমিটার।
★ অান্তর্জাতিক পদ্ধতিতে অায়তনের একক — ঘন মিটার
★ ১ মাইল সমান — ১.৬১ কিলোমিটার
★ অান্তর্জাতিক একক পদ্ধতি চালু হয় — ১৯৬০ সালে।
★ সিজিএস পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যের একক — সেন্টিমিটার।
SI পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ রাশির একক:
➼ দৈর্ঘ্যের একক — মিটার
➼ সময়ের একক — সেকেন্ড
➼ দীপন ক্ষমতার একক — ক্যান্ডেলা
➼ ভরেরর একক — কিলোগ্রাম
➼ তাপমাত্রার একক — কেলভিন
➼ পদার্থের পরিমাণের একক — মোল
➼ তড়িৎ প্রবাহের একক– অ্যাম্পিয়ার
➼ সরণের একক — মিটার
➼ বেগের একক — মিটার/সেকেন্ড
➼ দ্রুতির একক — মিটার/সেকেন্ড
➼ বলের একক — নিউটন
➼ কাজের একক — জুল
➼ শক্তির একক — জুল
➼ তাপের একক — জুল
➼ ক্ষমতার একক — ওয়াট
➼ চাপের একক — প্যাসকেল
➼ কম্পাংকের একক — হার্জ
➼ অাধানের একক — কুলম্ব
➼ রোধের একক — ওহম
➼ পরিবাহিতার একক — সিমেন্স
➼ তেজস্ক্রিয়তার একক — বেকরেল
➼ এক্সরের একক — রনজেন
➼ লেন্সের ক্ষমতা — ডাইঅপ্টার
পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন অাবিষ্কার অাবস্কারক:
অাবিষ্কার-অাবিস্কারক-সাল-দেশ
★ প্লাবতা-অার্কিমিডিস-খ্রিষ্টপূর্ব ২১২-সিসিলি
★ বিদ্যুৎ-উইলিয়াম গিলর্বাট-১৫৭০-যুক্তরাজ্য
★ টেলিস্কোপ-গ্যালিলিও-১৬১০-ইতালি
★ ক্যালকুলেটর-গটফ্রাইড উইলহেম লিমানিজ-১৬৭১-জার্মানি
★ বাষ্পচালিত ইঞ্জিন – জেমস ওয়াট- ১৯৬৯-স্কটল্যান্ড
★ টেলিভশন – জন এল বেয়ার্ড-১৯২৬-যুক্তরাষ্ট্র
★ টেলিফোন-অালেকজান্ডার গ্রাহামবেল-১৮৭৬-যুক্তরাষ্ট্র
★ মাইক্রোফোন-অালে
কজান্ডার গ্রাহামবেল-১৮৭৬-যুক্তরাষ্ট্র
★ রেডিও-জি মার্কনী-১৮৯৪-ইতালি
★ রেফ্রিজেটর – জেমস হ্যারিসন – ১৮৫১-যুক্তরাষ্ট্র
★ ডিজেল ইঞ্জিল – রুডলফ ডিজেল – ১৮৯৫-জার্মানি
★ রেলওয়ে ইঞ্জিন – স্টিফেনসন-১৮২৫-যুক্তরাজ্য
★ পেট্রোল ইঞ্জিন – নিকোলাস অটো-১৮৭৬-জার্মানি
★ ফনোগ্রাফ-এডিসন-১৮৭৮-যুক্তরাষ্ট্র
★ বৈদ্যুতিক বাতি-এডিসন-১৮৭৮-যুক্তরাষ্ট্র
★ কম্পিউটার – হাওয়ার্ড অাইকেনন-১৯৩৯-যুক্তরাষ্ট্র
★ থার্মোমিটার-গ্যালিলিও-১৫৯৩-ইতালি
★ ডায়নামো-মাইকেল ফ্যারাডে-১৮৩১-যুক্তরাজ্য
★ এক্সরে-রনজেন্ট-১৮৯৫-জার্মানি
★ লেজার-টি এইচ মাইম্যান-১৮৬০-যুক্তরাষ্ট্র
★ তেজস্ক্রিয়তা – হেনরি বেকরেল-১৮৯৬-ফ্রান্স
★ ফিশন-অটোহ্যান-১৯৩৮-জার্মানি
★ পারমাণবিক বোমা- ওপেনহেইমার-১৯৪৫-যুক্তরাষ্ট্র
★ রেডিয়াম, পলোনিয়াম – মাদাম কুরি-১৮৯৮-পোল্যান্ড
★ ডিনামাইট-অালফ্রেড নোবেল-১৮৬২-সুইডেন
★ রাডার-এ এইচ টেলর ও লিও সি ইয়ং-১৯২২-যুক্তরাষ্ট্র
পরিমাণের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রেরর বব্যবহার:
★ অলটিমিটার-উচ্চতা নির্ণায়ক যন্ত্র
★ অ্যামিটার-বিদ্যুৎ প্রবাহ মাপক যন্ত্র
★ অ্যানিমোমিটার – বাতাসের গতিবেগ ও শক্তি পরিমাপক যন্ত্র
★ অডিওমিটার – শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র
★ ওডোমিটার – মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
★ ক্যালরিমিটার – তাপ পরিমাপক যন্ত্র
★ কার্ডিওগাফ – হৃৎপিন্ডের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
★ ক্রোনোমিটার – সমুদ্রের দাঘিমা নির্ণায়ক যন্ত্র/সূক্ষ্ম সময় পরিমাপ করার যন্ত্র
★ গ্যালভোমিটার-ক্ষুদ্র মাপের বিদ্যুৎ প্রবাহ নির্ণায়ক যন্ত্র
★ জেনারেটর – যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রুপান্তরের যন্ত্র
★ ট্যাকোমিটার-উড়ো
জাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
★ ড্রেজার-পানির নিচে মাটি কাটার যন্ত্র
★ পেরিস্কোপ- সাবমেরিন থেকে সমুদ্রের ওপরের জাহাজ দেখার যন্ত্র
★ ফ্যাদোমিটার – সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক যন্ত্র
★ ব্যারোমিটার – বায়ুমন্ডলের চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র
★ ম্যানোমিটার-গ্যাসের চাপ নির্ণায়ক যন্ত্র
★ ল্যাক্টোমিটার – দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণায়ক যন্ত্র
★ সিসমোগ্রাফ-ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র
★ সিসমোমিটার-ভূমিকম্প পরিমাপ যন্ত্র
★ স্ফিগমোম্যানোমিটার-মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র
★ স্টেথোস্কোপ-হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসের শব্দ নিরুপণ যন্ত্র
★ সেক্সটেন্ট – সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের কৌণিক উন্নতি পরিমাপক যন্ত্র
★ হাইড্রোমিটার-তরলের অাপেক্ষিক গুরুত্ব নির্ণায়ক যন্ত্র
★ হাইড্রোফোন-পানির তলায় শব্দ নিরুপণের যন্ত্র
★ রেইনগেজ – বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র
★ গ্রাডিমিটার – পানির তলায় তেলের সঞ্চয় নির্ণায়ক যন্ত্র
★ জাইরোকম্পাস-জাহাজের দিক নির্ণায়ক যন্ত্র।

Posted from WordPress for Android